তসলিমা নাসরিনের নির্বাসনের ২৫ বছর
![]() |
তসলিমা নাসরিনের নির্বাসন ও কিছু কথা Taslima Nasrin's deportation |
Taslima Nasreen এর ২৫ বছর নির্বাসনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি চোখে পড়লো।খুবই আবেগময় একটা চিঠি ।কয়েকবার পড়লাম।যে জিনিস আমার ভালো লাগে আমি বারবার পড়ি।অনেকটা কষ্ট লাগলো।হয়তো উনাকেও এই চিঠি লিখতে গিয়ে জল ফেলতে হয়েছে।২৫ বছর নির্বাসন!!সবাইকে হারিয়ে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।আপনার জন্য খারাপ লাগে।
১৯৯৪ সালে মৌলবাদিদের তাড়া খেয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান।পরে সরকারিভাবে দেশে প্রবেশে নিষেধ করা হয়।তবে কি কারণে এই নিষেধ এখনো অজানা!তসলিমা নাসরিনের মাথার দাম ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন সিলেটের ইসলামী ঐক্যজোট নেতা প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান।মাওলানা হাবীবুর রহমানের এই ঘোষণার ঘোর বিরোধী আমি।একই এলাকায় থাকার সুবাদে গত বছর তনার জন্মদিনের পর প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম।কিন্তু ব্যাক্তিগত সমস্যার কারণে ঐ সময় যেতে পারিনি ।পরবর্তীতে যখন সময় হলো তখন উনি মারা গেলেন।
তসলিমা নাসরিনের ২৫ বছর নির্বাসন কাটাচ্ছেন ।কী জন্য?মৌলবাদিদের জন্য!আমি চাই তসলিমা নাসরিন নিজ জন্মভুমিতে ফিরে আসুন।প্রত্যেক নাগরিকে অধিকার আছে নিজ দেশে বসবাস করার।তবে তসলিমা নাসরিনের এই পরিস্থিতির জন্য তসলিমা নাসরিন নিজে দায়ী।
১৯৯৪ সালে মৌলবাদিদের তাড়া খেয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান।পরে সরকারিভাবে দেশে প্রবেশে নিষেধ করা হয়।তবে কি কারণে এই নিষেধ এখনো অজানা!তসলিমা নাসরিনের মাথার দাম ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন সিলেটের ইসলামী ঐক্যজোট নেতা প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান।মাওলানা হাবীবুর রহমানের এই ঘোষণার ঘোর বিরোধী আমি।একই এলাকায় থাকার সুবাদে গত বছর তনার জন্মদিনের পর প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম।কিন্তু ব্যাক্তিগত সমস্যার কারণে ঐ সময় যেতে পারিনি ।পরবর্তীতে যখন সময় হলো তখন উনি মারা গেলেন।
তসলিমা নাসরিনের ২৫ বছর নির্বাসন কাটাচ্ছেন ।কী জন্য?মৌলবাদিদের জন্য!আমি চাই তসলিমা নাসরিন নিজ জন্মভুমিতে ফিরে আসুন।প্রত্যেক নাগরিকে অধিকার আছে নিজ দেশে বসবাস করার।তবে তসলিমা নাসরিনের এই পরিস্থিতির জন্য তসলিমা নাসরিন নিজে দায়ী।
তৎকালীন সময়ে তসলিমা নাসরিন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য তাঁকে দেশ হতে পালাতে হলো।কোরআনের সংশোধন প্রয়োজন,ইসলাম নারীদের হত্যার নির্দেশ করে ইত্যাদি।
গত বছর তসলিমা Masuda Bhatti কে শুধুিত্রহীনা নয় সে চরিত্রহীনা না হলে আর কে চরিত্রহীনা হবে-বলে একজন মানুষের চরিত্রের সার্টিফিকেট নিজেই দিয়ে দিলেন।মাসুদা ভাট্টির একটাই দোষ ছিলো আত্মজীবনী ক’ নিয়ে সমালোচনা করায় তসলিমা নাসরিনের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।ভাট্টির দাবি গত ২০ বছর ধরে প্রকাশ্যে এই বিষয় নিয়ে তাঁকে গাল-মন্দ,অপমান করে গেছেন।শুধুমাত্র একটা সমালোচনার জন্য।তাহলে উনি কি সকল সমালোচনার পক্ষে নন?আমি নিজে সমালোচনার পক্ষে নয় আলোচনা,ভালোবাসার পক্ষে।সমালোচনা এক পক্ষের জন্য পৈশাচিক আনন্দ দিলেও অন্য পক্ষকে দেয় চরম বেদনা।অবাক হলাম ব্যারিস্টার মইনুল ভাট্টিকে চরিত্রহীনা বলার কারণে মানববন্ধন করে অথচ তসলিমা নাসরিন বললে কিছু নয়।কারণ কি ব্যারিস্টার মইনুল পুরুষ বলে!
দেশের মানুষ হুমায়ুন আহমেদ এর মতো একজন খ্যাতিমান লেখককে হারিয়ে যখন শোকাবহ তখন আপনি অপমান করে বললেন-‘এ দেশের মানুষ মূর্খ তাই হুমায়ুনের বইয়ের বেশি কাটতি’।হিংসা বিদ্বেষমূলক কথা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুন্দর একটা কথা বলেছিলেন-“কখনও কী আমার জায়গায় আপনাকে কল্পনা করে দেখেছেন?” মানুষ যদি এভাবে অন্যের দুঃখ,কষ্ট আর অপমানের জায়গায় নিজেকে একবার কল্পনা করতো তবে এই পৃথিবী থেকে সকল হিংসা-বিদ্বেষ অপকর্ম দূর হতো।আসলে মানুষ নিজের বেলায় খেলোয়াড় হলেও অন্যের বেলায় নিশ্চুপ দর্শক।
আপনার জন্য কষ্ট হয়।আমি চাই দেশে আসুন।নিজ মাতৃভুমিতে ফিরে আসুন।কোনো হামলা কিংবা আঘাত হোক পছন্দ করিনা।যদি অন্যদের কোনো অভিযোগ থাকে তা দেশের আইন বিচার করবে।অনেক দেশ বিরোধীরাও দেশে এখন নেতার মতো চলাফেরা করছে ।স্বাধীনতা বিরোধী গোলাম আযমের মতো লোকেরা যদি উচ্চ আদলতের সার্টিফিকেট পেয়ে দেশে বাস করার সুযোগ পেয়েছিলো তাহলে আপনি নন কেনো?
আপনার নিষিদ্ধ বইগুলোও উন্মুক্ত হোক।কোনো বই নিষিদ্ধের বিপক্ষে নই।আমি মানুষের লেখা ও বলার স্বাধীনতার পক্ষে।তবে কারো জন্য অপমানজনক বা মিথ্যা কিছু লেখার বিপক্ষে।
লজ্জা’বই পড়েছি।নিষিদ্ধের কোনো কারণ দেখিনি।আত্মজীবনী ক’ পড়েছি।
নারীর কথা বললে,নারীর অধিকারের কথা বললে ,নারীর প্রতি স্নেহশীল এমন নয়।এগুলো এখন ব্যাক্তি নিজ স্বার্থেই করে।আর গণতন্ত্র ঐখানেই শেষ হয় যখন ব্যাক্তি স্বার্থ বড় হয়ে উঠে কেউ মরুক বা বাঁচুক তাতে কিছু নয়।আমি নিন্দা জানাই সরকারের প্রতি বইগুলো নিষিদ্ধের জন্য।’অবাক হই,আপনার বই থেকে নিষিদ্ধকরন তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস কারোর নেই!আমি আছি।’লজ্জা’ বই পড়ার পর আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলাম।কিন্তু পারিনি।*আপনি ভালো জানেন।
আপনি শান্তিতে থাকুন ।দেশের সবাই শান্তিতে থাকুক ।সকল প্রকার ভেদাভেদ ,হিংসা,বিদ্বেষ ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক।
গত বছর তসলিমা Masuda Bhatti কে শুধুিত্রহীনা নয় সে চরিত্রহীনা না হলে আর কে চরিত্রহীনা হবে-বলে একজন মানুষের চরিত্রের সার্টিফিকেট নিজেই দিয়ে দিলেন।মাসুদা ভাট্টির একটাই দোষ ছিলো আত্মজীবনী ক’ নিয়ে সমালোচনা করায় তসলিমা নাসরিনের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।ভাট্টির দাবি গত ২০ বছর ধরে প্রকাশ্যে এই বিষয় নিয়ে তাঁকে গাল-মন্দ,অপমান করে গেছেন।শুধুমাত্র একটা সমালোচনার জন্য।তাহলে উনি কি সকল সমালোচনার পক্ষে নন?আমি নিজে সমালোচনার পক্ষে নয় আলোচনা,ভালোবাসার পক্ষে।সমালোচনা এক পক্ষের জন্য পৈশাচিক আনন্দ দিলেও অন্য পক্ষকে দেয় চরম বেদনা।অবাক হলাম ব্যারিস্টার মইনুল ভাট্টিকে চরিত্রহীনা বলার কারণে মানববন্ধন করে অথচ তসলিমা নাসরিন বললে কিছু নয়।কারণ কি ব্যারিস্টার মইনুল পুরুষ বলে!
দেশের মানুষ হুমায়ুন আহমেদ এর মতো একজন খ্যাতিমান লেখককে হারিয়ে যখন শোকাবহ তখন আপনি অপমান করে বললেন-‘এ দেশের মানুষ মূর্খ তাই হুমায়ুনের বইয়ের বেশি কাটতি’।হিংসা বিদ্বেষমূলক কথা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুন্দর একটা কথা বলেছিলেন-“কখনও কী আমার জায়গায় আপনাকে কল্পনা করে দেখেছেন?” মানুষ যদি এভাবে অন্যের দুঃখ,কষ্ট আর অপমানের জায়গায় নিজেকে একবার কল্পনা করতো তবে এই পৃথিবী থেকে সকল হিংসা-বিদ্বেষ অপকর্ম দূর হতো।আসলে মানুষ নিজের বেলায় খেলোয়াড় হলেও অন্যের বেলায় নিশ্চুপ দর্শক।
আপনার জন্য কষ্ট হয়।আমি চাই দেশে আসুন।নিজ মাতৃভুমিতে ফিরে আসুন।কোনো হামলা কিংবা আঘাত হোক পছন্দ করিনা।যদি অন্যদের কোনো অভিযোগ থাকে তা দেশের আইন বিচার করবে।অনেক দেশ বিরোধীরাও দেশে এখন নেতার মতো চলাফেরা করছে ।স্বাধীনতা বিরোধী গোলাম আযমের মতো লোকেরা যদি উচ্চ আদলতের সার্টিফিকেট পেয়ে দেশে বাস করার সুযোগ পেয়েছিলো তাহলে আপনি নন কেনো?
আপনার নিষিদ্ধ বইগুলোও উন্মুক্ত হোক।কোনো বই নিষিদ্ধের বিপক্ষে নই।আমি মানুষের লেখা ও বলার স্বাধীনতার পক্ষে।তবে কারো জন্য অপমানজনক বা মিথ্যা কিছু লেখার বিপক্ষে।
লজ্জা’বই পড়েছি।নিষিদ্ধের কোনো কারণ দেখিনি।আত্মজীবনী ক’ পড়েছি।
নারীর কথা বললে,নারীর অধিকারের কথা বললে ,নারীর প্রতি স্নেহশীল এমন নয়।এগুলো এখন ব্যাক্তি নিজ স্বার্থেই করে।আর গণতন্ত্র ঐখানেই শেষ হয় যখন ব্যাক্তি স্বার্থ বড় হয়ে উঠে কেউ মরুক বা বাঁচুক তাতে কিছু নয়।আমি নিন্দা জানাই সরকারের প্রতি বইগুলো নিষিদ্ধের জন্য।’অবাক হই,আপনার বই থেকে নিষিদ্ধকরন তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস কারোর নেই!আমি আছি।’লজ্জা’ বই পড়ার পর আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলাম।কিন্তু পারিনি।*আপনি ভালো জানেন।
আপনি শান্তিতে থাকুন ।দেশের সবাই শান্তিতে থাকুক ।সকল প্রকার ভেদাভেদ ,হিংসা,বিদ্বেষ ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক।
তসলিমা নাসরিন কে দেশে চাই
ReplyDelete