হিংসা নয়, পজেটিভলি ভাবুন।
মনের মধ্যে পশুত্ব রেখে কোনো ইবাদাতও কবুল হয় না।কোরবানি মানে পশু কে জবাই করা তা নয় নিজের মনের ইচ্ছা শক্তির প্রবলতা।তাই পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই কবুল।আল্লাহ পশু জবাই দেখেন না দেখেন মানুষের মনের প্রতিক্রিয়া।কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নাই কিন্তু নিজেকে আল্লাহর প্রতি বিলিয়ে দেয়ার প্রবল ইচ্ছাই আল্লাহর কাছে খুব পছন্দনীয়।ইব্রাহীম নবীর এই ইচ্ছাই আল্লাহর বেশ পছন্দনীয় ছিল আর দুম্বা ছিল একটা মাধ্যম।
গরু,ছাগল জবাই করা কোনো কুরবানি নয়, একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।আল্লাহর জন্য ইব্রাহীম নবীর মত নিজের আত্মত্যাগের ইচ্ছাই কোরবানি।
- প্রানির প্রতি মায়া থাকতে পারে স্বাভাবিক।আমারও দুঃখ লাগে কোনো প্রান চলে যেতে দেখে।নীরিহ প্রানি জবাই হচ্ছে তাই খারাপ লাগছে কিন্তু শুধু কি মুসলিমরা পশু জবাই করছে এই কারনে? হিংসাত্মক মনোভাব থাকলে এমন মনে হওয়া স্বাভাবিক।মনে হবে এটা ঘোর অন্যায়।কারন ভালোবাসলে যেমন তেতো জিনিস মিষ্টি লাগে,তেমনি হিংসাত্মক মনোভাবে মিষ্টি জিনিসও তেতো মনে হবে।
আপনাদের প্রতিদিনকার খাবারেও হাজারো নীরিহ প্রানীকে হত্যা করে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করছেন।যদি এটাকে প্রানী জবাইয়ের জন্য বর্বরতা বলতে হয় তাহলে নিজেকে আগে সংশোধন করা জরুরি। আর কোরবানি পশুর মাংস হিংস্রভাবে ফেলা দেয়া হচ্ছে না।যদি তাই হতো তবে এটা বর্বরতা।বরং যারা অভাবে খেতে পারেনা তাদেরও খাবার জুটছে।
তাই হিংসা নয়।পজিটিভ চিন্তা করুন।
Comments
Post a Comment